ajkerit

কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়

কীটনাশক হলো এমন এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা পোকামাকড়কে মেরে ফেলে। এটি ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমনে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কীটনাশক খেলে মানুষ মারা যেতে পারে। কীটনাশক খেলে কী হয়, তা নিয়ে আমরা আজ আলোচনা করবো।

কীটনাশক খেলে কি মানুষ মারা যায়?

কীটনাশক খেলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন:

বমি বমি ভাব

বমি

ডায়রিয়া

মাথা ঘোরা

চোখের জল ওঠা

মাথা ব্যথা

খিঁচুনি

শ্বাসকষ্ট

হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

কোমা

মৃত্যু

কীটনাশক খেলে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। প্রতি বছর বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষ কীটনাশক খেয়ে মারা যায়।

কীটনাশক খেলে যদি আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিডোট দেবেন, যা কীটনাশকের প্রভাবকে প্রশমিত করতে পারে।

কীটনাশক খেতে না পারা জন্য কিছু টিপস:

কীটনাশক ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।

কীটনাশক ব্যবহার করার পরে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

কীটনাশক রাখার জায়গাটিকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

কীটনাশক খেলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের কাছে যান।

কীটনাশক খেলে মৃত্যুরোধে করণীয়1

কীটনাশক খেলে মৃত্যুরোধে নিম্নোক্ত করণীয়গুলো মেনে চলুন:

কীনাশক খেলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের কাছে যান।

কীটনাশক খেতে বাধ্য হলে, তাৎক্ষণিকভাবে বিষক্রিয়া প্রতিষেধক পান করুন।

কীটনাশক খেলে শরীরের যেসব অংশে কীটনাশক লাগতে পারে সেসব অংশ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

কীটনাশক খেলে বমি করানোর চেষ্টা করবেন না।

কীটনাশক খেলে কাপড় সবচেয়ে আগে খুলতে হবে।

কীটনাশক খেলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার প্রতিকার

কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার প্রতিকার নিম্নরূপ:

বিষক্রিয়া প্রতিষেধক (Antidote): বিষক্রিয়া প্রতিষেধক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা বিষের প্রভাবকে প্রশমিত করতে পারে। কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে অ্যান্টিডোট দেওয়া হয়।

জীবাণুনাশক (Disinfectant): জীবাণুনাশক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা শরীরের জীবাণুগুলোকে মেরে ফেলে। কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে জীবাণ নাশক ব্যবহার করা হয়।

শোষণ রোধক (Adsorbent): শোষণ রোধক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা শরীরে বিষের শোষণকে রোধ করে। কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে শোষণ রোধক ব্যবহার করা হয়।

তরল খাবার: কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে তরল খাবার খাওয়ানো হয়। তরল খাবার শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে।

বিশ্রাম: কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। বিশ্রাম নেওয়ার ফলে শরীরের বিষক্রিয়া পদার্থগুলোকে বের করে দিতে পারে।

কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়া প্রতিরোধ

কীটনাশকজনিত বিষক্রিয়া প্রতিরোধ নিম্নরূপ:

কীটনাশক ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।

কীটনাশক ব্যবহার করার পরে আপনার হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

কীটনাশক রাখার জায়গাটিকে শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

কীটনাশক খেলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্ত

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন