ajkerit

কি বিষ খেলে মানুষ মারা যায়?

বিষ হলো এমন এক ধরনের পদার্থ, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং খেলে মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষের প্রকারভেদে শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। কিছু বিষ খুব দ্রুত কাজ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মেরে ফেলে। আবার কিছু বিষ ধীরে ধীরে কাজ করে এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন পরেও মারা ফেলতে পারে।

কি বিষ খেলে মানুষ মারা যায়?

প্রাকৃতিক বিষ: প্রাকৃতিক বিষ হলো এমন এক ধরনের বিষ, যা প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। এ ধরনের বিষের মধ্যে রয়েছে মাকড়সার বিষ, সাপের বিষ, মাশরুম ইত্যাদি।

রাসায়নিক বিষ: রাসায়নিক বিষ হলো এমন এক ধরনের বিষ, যা রাসায়নিক পদার্থ থেকে তৈরি হয়। এ ধরনের বিষের মধ্যে রয়েছে কীটনাশক, পোকামাকড়ের বিষ, ইত্যাদি।

ঔষধী বিষ: ঔষধী বিষ হলো এমন এক ধরনের বিষ, যা ঔষধ থেকে তৈরি হয়। এ ধরনের বিষের মধ্যে রয়েছে বিষক্রিয়া প্রতিষেধক, ব্যথানাশক ইত্যাদি।

বিষ কীভাবে কাজ করে?

বিষ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি রক্তের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে, কোষের মৃত্যু ঘটায়, এবং স্নায়ুতন্ত্রকে বিকল করে দিতে পারে। বিষের প্রকারভেদে এর প্রভাবও ভিন্ন রকম হয়।

বিষ খেলে কী হয়?

বিষ খেলে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন:

বমি বমি ভাব

বমি

ডায়রিয়া

মাথা ঘোরা

চোখের জল ওঠা

মাথা ব্যথা

খিঁচুনি

শ্বাসকষ্ট

হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া

কোমা

মৃত্যু

বিষ খেলে কিভাবে মৃত্যু হয়?

বিষ খেলে মৃত্যুর কারণ হলো, বিষ শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয় এবং সে মারা যায়।

বিষ খেলে করণীয়

যদি কেউ বিষ খেয়ে ফেলে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে বমি করানো যাবে না।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে পানি বা অন্য কোনো তরল খাওয়ানো যাবে না।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে হবে।

আক্রান্ত ব্যক্তিকে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

বিষ খেলে প্রতিকার

বিষক্রিয়া প্রতিষেধক: বিষক্রিয়া প্রতিষেধক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা বিষের প্রভাবকে প্রশমিত করতে পারে। এটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে

জীবাণুনাশক: জীবাণুনাশক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা শরীরের জীবাণুগুলোকে মেরে ফেলে। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের জীবাণুগুলোকে মেরে ফেলে এবং তাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে।

শোষণ রোধক: শোষণ রোধক হলো এমন এক ধরনের ঔষধ, যা শরীরে বিষের শোষণকে রোধ করে। এটি আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বিষের প্রভাবকে কমিয়ে দিতে পারে।

তরল খাবার: তরল খাবার হলো এমন এক ধরনের খাবার, যা শরীরে পানিশূন্যতা রোধ করে। এটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে।

বিশ্রাম: বিশ্রাম হলো এমন এক ধরনের কার্যক্রম, যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এটি আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে পারে।

বিষ খেলে প্রতিরোধ

বিষ ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে।

বিষ ব্যবহার করার পরে আপনার

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন